চোখ ওঠার কারণ ও সমাধান ২০২৩। Causes and home remedies for puffy eyes


কোন একজনের চোখ উঠলে দেখা যায় বাসার সবার চোখ উঠছে। তাই  জানাবো চোখ উঠা থেকে সুরক্ষিত থাকবেন। কি করবেন আর যদি উঠে যায় তাহলে ঘরোয়া চিকিৎসা কি মাত্র তিনটা কাজের মাধ্যমে ছড়ানো ঠেকানো যায়।

: যার চোখ উঠেছে তার রুমাল গামছা তোয়ালে বালিশ এগুলো অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। আলাদা রাখবেন গরম পানিতে ডিটারজেন্ট সাবান দিয়ে বালিশের কভার বিছানার চাদর গামছা তোয়ালে মুখে ব্যবহার করা কোন কাপড় যেমন রুমাল এগুলো ধুয়ে নিবেন। আর ধোয়া শেষ করে ভালো করে নিজের হাত দুটো ধরে নেবেন।

 ২: এই ইনফেকশন হাসি কাশি মাধ্যমে তাই বিশেষ করে চোখ উঠলে হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় মুখ আর নাক ডেকে নিতে হবে। টিস্যু ব্যবহারের পর কিছুটা ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিবেন। 

৩: চোখ উঠা রোগী হাত ধোয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে চোখের ড্রপ অথবা মলম লাগানোর আগে পরে এবং চোখ পরিষ্কার করার আগে পরে তার আশেপাশে অনুরাগী হলেও নিয়মিত হাত ধুতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে চোখে  যেন হাত না যায়। কোন কারণে যদি চোখে হাত দিতে হয় তাহলে তার আগে অবশ্যই ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। না হলে সহজেই ইনফেকশন রোগী থেকে তার আশেপাশের মানুষের ছড়িয়ে পড়তে পারে।

 অনেকের মনে করেন যে চোখ উঠা কারো দিকে তাকালে বুঝে চোখ উঠে। এটা সম্পূর্ণ ভুল এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। চোখ ওঠা রোগের দিকে তাকালে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু তার আশেপাশে গেলে কিছু সতর্কতাঃ মানতে হবে। যেগুলো এতক্ষণ বললাম নিয়মিত হাত ধোয়া রোগে ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার না করা। চোখে হাত না দেয়া এসবের মাধ্যমে আপনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। তবে এখন বলছি চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসা কি। চোখ উঠলে যাতে একটু আরাম লাগে তার জন্য যা যা করতে পারেন সেটা আগে বললেই তার পর বলবো ওষুধ নিয়ে।

 ১: ঠান্ডা পানি শেখ এক টুকরা পরিষ্কার কাপড় পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে সেটা দিয়ে চোখের সেক দিতে পারেন। একটু ঠান্ডা পানি হলে ভালো হয়। কয়েক মিনিট ধরে ভেজা কাপড় দিয়ে আলতো করে চাপ দিবেন। এতে চোখের আরাম পাবেন। 

২: চোখ মোছা হাত দিয়ে কচলাবেন না বা চুলকাবেন না। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। চোখের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাহলে চোখ মুচবেন কি করে। পানি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নেবেন তারপর সে কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় বা তুলা ভিজিয়ে আলতোভাবে চোখের পাপড়ি মুচে ফেলবেন।

এতে করে চোখে জমা পূজ আর ময়লা পপরিষ্কার হয়ে যাবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে দুই চোখের জন্য আলাদা আলাদা কাপড় তুলা ব্যবহার করতে হবে শেষ করার পর কাপড় ধুয়ে নিবেন পারলে হালকা গরম পানি ও সাবান দিয়ে আর যদি তুলা ব্যবহার করে থাকেন সেটা ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিবেন আর সব শেষ করে নিজের হাতটা ভাল করে ধুয়ে নিবেন ৩ চোখের ড্রপ ব্যবহার করলে চোখে অস্বস্তি খচখচে ভাব আঠালো ভাব এগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে এগুলোকে বলেন লুব্রিকেটিং অয়েল বা আর্টিফিশিয়াল ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই আপনি নিজেই ফার্মেসীতে গিয়ে গুলো কিনতে পারবেন বাংলাদেশের যে নামেই ড্রপ গুলো পাওয়া যায় সেগুলো এখানে দেখিয়ে দিচ্ছি.

এগুলো নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যবহার করবেন।

 ৪ : অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ। সাধারণতঃ নিজে নিজেই সেরে যায় ওষুধ লাগে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে। যেমন ইনফেকশন যদি খুব গুরুতর হয় অনেক অসুস্থ থাকে বা কোন কারণের উপযোগী দ্রুত সারানোর প্রয়োজন পড়ে। তখন একেবারে ডোপ কাজে দেতে পারে। সেক্ষেত্রে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। তিনি আপনার সাথে কথা বলে চোখ দেখে প্রয়োজনে আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ দিবেন নিজে নিজে ফার্মেসি থেকে কিনে এন্টিবায়োটিক দিবেন না। কারণ ভাইরাস এবং এলার্জির কারণে চোখ লাল হতে পারে। পানি পড়তে পারে। তখন কিন্তু আর কোন কাজ করবে না কিভাবে বোঝা যায় ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়া কারণে এমন হয়েছে। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হলে সাধারণত চোখ থেকে পুঁজ এর মত বের হয়। সকাল বেলা চোখের পাতায় আরেকটার সাথে লেগে থাকে। ভাইরাস ইনফেকশন হলে সাধারণত পুঁজ বের হয়না চোখ লাল হওয়ার পানি পড়ে জ্বালাপোড়া করে। ভাইরাস ইনফেকশন এ তখন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে কোন লাভ হয়না। ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশনের কি কাজ করে.

আর ইনফেকশন ছাড়াও এলার্জির কারণে চোখ লাল হয়। পানি পড়ে এলার্জির কারণে হয় সাধারণত চোখ চুলকায় ডোপ ব্যবহারে সর্তকতা বলে দেই। চোখের ড্রপ দেওয়ার পর সাময়িকভাবে আপনার দৃষ্টি শক্তি একটু ঘোলা হতে পারে তাই ড্রপ দেয়ার পরপরই গাড়ি চালানো বা ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন। বিশেষ সতর্কতাঃ যারা চোখে মেক-আপ প্রসাধনী এবং কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এগুলো ব্যবহার করবেন না। এবং চোখ সেরে যাওয়ার পরে নতুন প্রসাধনী এবং নতুন কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করবেন যাতে * কন্টাক্ট লেন্স বা প্রসাধনী থেকে আবার ইনফেকশন না হয়। এতক্ষণে বুঝে গেছেন চোখ উঠলে ডাক্তারের কাছে সাধারণত যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। নিজে নিজেই সেরে যায় তবে কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। কারণ গুরুতর কিছু হয়ে থাকতে পারে অথবা চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে সেটা কখনো যদি দুই সপ্তাহ পর অরণার শারে যদি চোখে ব্যথা হয় চোখ লাল হয়ে যায় চোখ মোছার পরেও আলোতে সমস্যা হয় বা চোখে দেখতে সমস্যা হয় যেমন কাঁপাকাঁপা দৃষ্টি ঝাপসা দৃষ্টি ঝলসানো আলো দেখলে.

কোন কারণে যদি রোগ প্রতরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে অথবা 28 দিনের কম বয়সী বাচ্চার যদি চোখ লাল হয়ে যায় ধন্যবাদ.

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url