চেহারা দেখে জেনে নিন রোগ বাসা বাঁধছে কি না 2023। Know whether the disease is nesting or not by looking at the appearance 2023.

 



আমাদের চেহারা, কিন্তু অনেকগুলো রোগের কথা আগাম জানিয়ে দেয় যদি আমরা খেয়াল করে তাকাই। 

আজকে আমি 13 টা জিনিস দেখাবো 

চোখ ফ্যাকাশে লাল চোখ, মেয়েদের মুখের আশেপাশের লোম গজানো, ঠোঁটের কোণায় ঘা মুখে তিল বা আছে এমন আরো কতগুলো বিষয়  মনোযোগ দিয়ে দেখে নিলে জটিল কিছু স্বাস্থ্যসমস্যা প্রাথমিক পর্যায়েই হয় তবে ধরে ফেলতে পারবেন। 

চোখ ফেকাসে হওয়া : এটা অপুষ্টি বা রক্তশূন্যতার কারণে হতে পারে। কি করে বুঝবেন আপনার চোখ ফ্যাকাসে কিনা, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আপনার চোখের নিচের পাতা আঙ্গুল দিয়ে টেনে ধরবেন টেনে ধরার পর আপনার চোখের নিচের পাতায় যদি দুইটা রং দেখতে পান বাইরের দিকে উজ্জ্বল লাল রঙ আর ভেতরের দিকে হাল্কা গোলাপী আভা তাহলে সেটা স্বাভাবিক আর যদি দুইটা পরিবর্তে শুধুমাত্র একটা রং দেখেন বাইরে সেই উজ্জ্বল লাল রং না থাকে পুরোটা জুড়েই হালকা হালকা গোলাপী আভা ফ্যাকাশে তাহলে সেটা রক্তশূন্যতার লক্ষণ এমন হলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন তিনি খুব সহজ কিছু রক্ত পরীক্ষা করে।

দেখতে পারবেন আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন কিনা এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন।

 তিল বা আঁছিল : আপনার যদি তিল বা আচিল থাকে তাহলে খুব ভালো করে খেয়াল রাখবেন যে সেটা দেখতে কেমন একটা ছবি তুলে রাখবে কারণ সেই তিলে যদি কোনো পরিবর্তন আসে যেমন সেটা যদি রং পালটাই সেটা বড়় হয়ে যায় কিংবা আকার-আকৃতিতে পরিবর্তন আসে সেটা ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। তখন দ্রুত একজন ডায়াবেটিস  বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু পরিবর্তনটা যদি আপনি বুঝতে চান তাহলে আগে থেকে আপনার জানা থাকা লাগবে এটা দেখতে কেমন ছিল। সেজন্য এই বিষয়টা খেয়াল রাখবেন।

 জিব্বার খাঁজ মুছে যাওয়া: আয়নায় আপনার জিব্বা টা দেখেন সাধারণত খাওয়া ছাড়া জীবের দিকে তেমন মনোযোগ কেউ দেয় না। কিন্তু  ডাক্তার রা জীব দেখে অনেক কিছু বুঝতে পারে। আয়নায় ভালো করে তাকালে আপনি দেখবেন আপনার জীবন ছোট ছোট অনেকগুলো ভাজ বা খাজ আছে কিন্তু এই খাজগুলো মুছে গিয়ে যদি মসৃন হয়ে যায় ডাক্তারি ভাষায় আমরা সেটাকে বলে একসাথে ক্লাস এইটের ভিটামিন বি ওয়ান সি বিসি আয়রন ইত্যাদি অনেকগুলো ভিটামিনের অভাবে এমন হতে পারে। সাধারণত ঠোটের দুই কোনায় লাল হয়ে যায় গাঁ হয়।

 ছবিতে যেমন দেখতে পাচ্ছেন এমন হলে বেশি বেশি শাকসবজি ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। খাদ্য তালিকায় ডিম দুধ মুরগির মাংস রাখবেন।  অপুষ্টি ছাড়া অন্যান্য কারণে এমন হতে পারে তাই একজন ডাক্তার দেখাবেন যাতে সঠিক চিকিৎসা শুরু করা যায়।

 আপনার ঠোটের দুই পাশের কোনায় খেয়াল করেন সেখানে যদি লাল হয়ে থাকে একটু ফুলে থাকে গাঁ কিংবা ফুসকুড়ি মত হয়ে থাকে। সেটাকে আমরা ডাক্তারি ভাষায় বলি এনজিও চিয়োলাইটেড আয়রন জিংক কিছু ভিটামিনের অভাবে এমন হতে পারে। তাই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিবেন আবার ব্যাকটেরিয়ার কিংবা ফাংগাল ইনফেকশনের কারণে এমন হতে পারে তাই একজন চিকিৎসক দেখে নিলে। তিনি কারণ অনুযায়ী আপনাকে চিকিৎসা দিতে পারবেন।


মুখ একপাশে বেঁকে যাওয়া  : এটা ব্রেইন স্ট্রোকের লক্ষণ সেনের এক অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা শুরু করলে এত দেরি হয় ততই ব্রেনের কোষগুলো মারা যেতে থাকে আর রোগীর প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মৃত্যুবরণ করার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে থাকে। অর্থাৎ সময় এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটা মিনিট গুরুত্বপূর্ণ। তাই এমন হলে দেরি না করে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে এমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যাবে যে হাসপাতালে স্ট্রোকের জরুরী চিকিৎসা হয়। এমন হাসপাতাল হলে ভালো চেহারার আরো কিছু লক্ষণ দেখে আপনি স্ট্রোক সন্দেহ করতে পারেন। যেমন চোখের পাতা ঝুলে পড়া চেহারার এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া কথা জড়িয়ে আসা তারপর যদি হাত বা পায়ের দিকে অবশ্যই আসে। এছাড়া অন্যান্য কারণে এমন হতে পারে তবে যেহেতু স্ট্রোক হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে তাই দেরি না করে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চলে যাবেন।

চোখ লাল হওয়া: চোখ লাল হলে আামরা পত্তা দেয় না। এলার্জির কারণে চোখ লাল হয়ে চুলকাতে পারে উঠলে চোখ লাল থাকে এগুলো নিয়ে সাধারনত খুব চিন্তা করার দরকার নেই।কিন্তু কখনো কখনো চোখ লাল হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। না হলে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এখন বলে দিচ্ছি প্রয়োজন একটা স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতে পারেন। 

চোখ লাল হওয়ার: সাথে যদি চোখে ব্যথা হয় আলোতে তাকালে চোখে ব্যথা হয়। অনেক গারো লাল হয়ে যায় চোখের মনি একটা থেকে আরেকটা বেশি বড় মনে হয় তীব্র মাথাব্যথা হয় বমি ভাব হয় বৃষ্টি শক্তিতে কোন পরিবর্তন আসে যেমন দেখতে কষ্ট হওয়া ঝাপসা বা ঘোলা দেখা আঁকাবাঁকা লাইন বা আলোর ঝলকানি দেখা আর যদি মনে হয় যে চোখ আটকে আছে। যেমন বালু কাচের মতোো চোখের পাতায় গোটা অনেকে এটাকে অঞ্জলি নামে চেনেন ডাক্তারি ভাষায় নাম হল স্কাই যেখান থেকে চোখের পাপড়ি গজায় সেখানে ছোট লালচে দানার মতো উঠে অনেক ব্যথা করে ব্যথা কমানোর জন্য দিনে তিন থেকে চারবার হালকা গরম সেঁক দিতে পারেন। প্রতিবার 5 থেকে 10 মিনিট করে সেক দিবেন। তাহলে অঞ্জলি থেকে পুঁজ বের হতে পারে আর তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে পারে। নিজে নিজে ভুলেও এটা ফুটাতে যাবেন না আমি অনেকেই এটা করতে দেখি। কিন্তু এটা করা উচিত না কারণ ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এই

অঞ্জলি একা একাই সেরে যায়। কিন্তু যদি অনেক ব্যথা হয় অনেক ফুলে যায়। চোখে দেখতে সমস্যা হয় অথবা কয়েক সপ্তাহের না সারে। তাহলে ডাক্তারের কাছে যাবেন। প্রয়োজনে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখাতে পারেন। আর অনেক সময় এমন গোটা হয় যেটাতে তেমন ব্যথা করে না ডাক্তারি ভাষায় সেটার নাম হলো ক্যালাজিয়ন। এটাও নিজে নিজে সেরে যায়।

 আমাদের চামরাই ছোট তলের মধ্যে ঠোলে মতন আছে সেগুলোর মুখ আটকে কেমন হতে পারে। চোখের আশেপাশে হলুদ গোটার মতো হওয়া আপনার চোখের আশেপাশে খেয়াল করেন সেখানে হলুদ গোটার মতো কিছু থাকলে সেটা হার্টের রোগ হওয়ার আগাম লক্ষণ হতে পারে। চামড়ার নিচে চর্বি জমে এমন হলুদ কোটা হয় এটা স্বাভাবিক হতে পারে। বংশগত কারণে হতে পারে। আবার রক্তে চর্বির পরিমাণ খুব বেশি থাকলেও এমন হতে পারে। তাই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে রক্তে চর্বি মাপার পরীক্ষা করিয়া বাটারফ্লাই রেস মুখে টো অনেক দাগ হয়় সেগুলো নিয়ে আমি চিন্তা করি না কিন্তুএক ধরনের দাগ হলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে.


অর্থাৎ দুই গালে আর নাকে প্রজাপতির পাখার মতো রেস বা দাগ দদেখতে কিছুটা লালচে আলোতে গেলে অস্বস্তি হতে পারে। সিস্তেমিক লুপুস এরিথেমাতোসাস ইস আর ডার্মাটাইটিসের মতো জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে। এমন হলে অবশ্যই একজন ডাক্তার দেখাবেন। তিনি আপনার মুখের দাগ দেখে এবং আপনার সাথে কথা বলে বুঝতে পারবেন এই রেস কোন জটিল রোগের লক্ষণ কিনা।



ঠোঁট ফাটা: শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে ছোট থাকতে পারে ঠোঁট পাতলা ঠোঁট ভেজাবেন না। তাহলে তো শুকিয়ে যাবার পর ঠোঁট আরো শুকিয়ে যায়। রাতে ঘুমানোর আগে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ঘুমাবেন। দিনে কয়েকবার লাগাতে পারেন আর ফাটা ঠোঁট দাঁত দিয়ে আঙ্গুল দিয়ে খটাবেন না। তাহলে ঠোঁট সেরে উঠতে দেরি হতে পারে কিছু ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবে ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার খাচ্ছেন কিনা সেটাও খেয়াল করবেন 

চোখ হলুদ: অনেকেই জানেন নাম জন্ডিস প্রথমে সাধারণত চোখের সাদা অংশ গুলো ধরে আসে। তারপর চেহারা এবং আস্তে আস্তে পুরো শরীর হলুদ হয়ে যায়। অনেকগুলো জটিল রোগের কারণে এমন হতে পারে লিভারের রোগ পিত্তথলির রোগ প্যানক্রিয়াস রোগ রক্তের রোগ। তাই এমন হলে দেরি না করে একজন ডাক্তার দেখাবেন। 


মেয়েদের মুখের আশেপাশে লোম গজানো : মেয়েদের চেহারায় গলায় ঘাড়ে যদি লোম গজায় এটা আমাদের হাতে পেয়েছে পাতলা লোম থাকে সেরকম না ঘন কালো চুলের মতো কিছুটা ছেলেদের মত তাহলে.

ফরাসি কোভিদ সিনড্রোম রোগের লক্ষণ হতে পারে। এখন অনেকেই চেনেন। কারো কারো বাচ্চা নিতে সমস্যা হয়। এই রোগ হলে তারপর পরবর্তীতে ডায়াবেটিস হাই ব্লাড প্রেসার রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই লক্ষণটা দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্ দেখা দিলেই ঘাবড়ে যাবেন না। কোন রোগ ছাড়াও এটা হতে পারে বংশগত কারণে হতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা না করে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। 

জ্বরঠোসা :অনেকেই চেনেন ফুসকুড়ির মত সাধারণত ঠোঁটের আশেপাশে হয় এটা নিয়ে বিস্তারিত আমি আরেকটা পোস এ লিংক দিয়ে দিব আপনার এই সমস্যাগুলো সেটা দেখে নিতে পারেন সেখান থেকেজেনে নিতে পারবেন ভালো থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন.


Next Post Previous Post
1 Comments
  • Anonymous
    Anonymous January 24, 2023 at 3:45 AM

    Thanks

Add Comment
comment url